২০১৬ সালে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলে। সেই বাজার ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়। দুবছরে দেশটিতে প্রায় ৭ লাখ কর্মী পাঠানোর স্বপ্ন দেখিয়ে মেডিকেলের নামে প্রায় ৩৮৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর এ কাজ করেছে সে সময়ে কর্মী পাঠানোর দায়িত্বে থাকা ১০ এজেন্সি। তবে সেই টাকার এক কানাকড়িও ফেরত পায়নি ভুক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় দেশটিতে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল ৫৫ হাজার কর্মী। বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা যেতে পারেনি। অন্যদিকে বিভিন্ন সময় দেশটিতে যাওয়ার জন্য ১০ লাখ কর্মীর মেডিকেল টেস্ট করানো হলেও তাদের মধ্যে ৭ লাখ ২৪ হাজারকে আনফিট দেখানো হয়। ফলে তারাও যেতে পারেনি। এসব কর্মীর প্রত্যেকের কাছ থেকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ৫ হাজার ৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল, যা হিসাব করলে দাঁড়ায় ৩৮৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। যার পুরোটাই হাতিয়ে নিয়েছে দেশটিতে কর্মী পাঠানোর দায়িত্বে থাকা ১০ এজেন্সি। সে সময় এই সিন্ডিকেট এজেন্সিগুলোর অধীনেই মেডিকেল টেস্ট করানো হতো। তারা প্রতিটি কর্মীর কাছ থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা করে নিত এবং টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট ধরিয়ে দিত।
আরও জানা গেছে, ২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে মেডিকেল পরীক্ষার সর্বোচ্চ খরচ ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। কিন্তু সেটি ২০১৬ সালে এসে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৩০০ টাকায়, যা আগের থেকে ৪৭০০ টাকা বেশি ছিল। এ নিয়ে সে সময় মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা এজেন্সিগুলো সঙ্গে তেমন উচ্চবাচ্যও করেনি। ফলে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী মেডিকেল করতে গিয়ে প্রচারিত হয়েছে ১০ এজেন্সির কাছে। তবে সেই টাকা ফেরত পায়নি তারা। এ ছাড়াও বাংলাদেশে মেডিকেল করার পরও মালয়েশিয়ায় গিয়ে অনেক কর্মীকে আবারও মেডিকেল করতে হয়েছিল। তাদের মধ্যে আবার অনেককে আনফিট (স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অকৃতকার্য) হয়ে ফেরত আসতে হয়েছে। সেই সংখ্যাও লাখের নিচে নয়। তবে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ কর্মীর মেডিকেল করানোর নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায় বায়রার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আকাশ ভ্রমণ এজেন্সির মালিক মনসুর আহমেদ কালামের এক বক্তব্যে।
শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২
Author: Mazharul Islam
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: