রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

নন ক্যাডারে ২৭০০ আবেদন

৩৬তম বিসিএসে নন-ক্যাডার পদের জন্য এখন পর্যন্ত
প্রায় ২ হাজার ৭০০ প্রার্থী আবেদন করেছেন
বলে জানিয়েছে পিএসসি। এই বিসিএসে ক্যাডার না
পাওয়া ৩ হাজার ৩০৮ জনকে নন-ক্যাডারে রাখা হয়েছে।
পিএসসি সূত্র জানায়, নন-ক্যাডারে প্রার্থী উত্তীর্ণ
হয়েছিলেন ৩ হাজার ৩০৮ জন। প্রায় ৬০০ জন নন–
ক্যাডারের জন্য আবেদন করেননি। পিএসসি বলছে,
নন-ক্যাডারে থাকা কিছু প্রার্থী আগের বিসিএসে
ক্যাডার বা নন-ক্যাডারে চাকরি করছেন বলে তাঁরা এতে
আবেদন করেনি। এটি একদিক থেকে নন-ক্যাডারের
প্রার্থীদের জন্য ইতিবাচক। কেননা, তাঁদের চাকরি
পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ল।
৩৬তম বিসিএসে নন-ক্যাডারের বিপরীতে পিএসসি
শূন্য পদ কত পেয়েছে, তা জানতে চাইলে
পিএসসির ওই দায়িত্বশীল সূত্র এ বিষয়ে এখনই কিছু
জানাতে রাজি হয়নি। সূত্রটি বলছে, তারা বেশ কিছু
শূন্যপদ পেয়েছে। তাদের কাছে নতুন নতুন
পদের চাহিদা আসছে। এভাবে পদ পেতে থাকলে
হয়তো সবাই নিয়োগ পেয়ে যেতে পারেন।
অবশ্য গত মাসে পিএসসির একটি সূত্র জানিয়েছিল, তখন
পর্যন্ত তারা প্রায় ১ হাজার ৮০০ শূন্য পদে নিয়োগের
চাহিদাপত্র পেয়েছে। এখন এটা আরও বেড়েছে
বলে ওই সূত্রের দাবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান
মোহাম্মদ সাদিক প্রথম আলোকে বলেন,
‘আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদের চাহিদা
আসছে। তবে কত আসছে, তা এখন বলতে পারছি
না। এখন আমরা মূলত আসন্ন ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি
পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত।’
নন-ক্যাডার কয়েকজন প্রার্থী প্রথম আলোকে
জানান, বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক হতে অনীহা দেখাচ্ছেন প্রার্থীরা।
তাঁদের দাবি, সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) নন-ক্যাডারে
নবম ও দশম গ্রেড ছাড়া নিয়োগ দিতে পারে না।
কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ
এখনো ১২তম গ্রেড। অবশ্য পিএসসি বলছে,
গ্রেডের সমস্যা সমাধান করবে মন্ত্রণালয়। সেটি
তাদের বিষয় নয়।
গত ১৭ অক্টোবর ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল
প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ২ হাজার ৩২৩ জনকে
বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা
হয়েছে। ক্যাডার না পাওয়া ৩ হাজার ৩০৮ জনকে নন-
ক্যাডারে রাখা হয়েছে। ৩৬তম বিসিএসে প্রশাসন
ক্যাডারে ২৯২টি, পুলিশ ক্যাডারে ১১৭, কর ক্যাডারে
৪২, পররাষ্ট্র ২০, নিরীক্ষা ও হিসাব ১৫, কৃষি ৩২২, মৎস্য
৪৮, স্বাস্থ্য সহকারী সার্জন ১৮৭, পশুসম্পদ ৪৩টিসহ ২
হাজার ৩২৩ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছে।
৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ৫ হাজার ৯৯০ জন
উত্তীর্ণ হন। প্রথম শ্রেণির ২ হাজার ১৮০ জন
গেজেটেড কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে ২০১৫
সালের ৩১ মে ৩৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
করা হয়। গত বছরের ৮ জানুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়।
দুই লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এতে অংশ নিয়ে
উত্তীর্ণ হন মাত্র ১৩ হাজার ৬৭৯ জন। গত বছরের
সেপ্টেম্বরে তাঁদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশ নেন ১২ হাজার ৪৬৮ জন। চাকরি প্রার্থীরা
মৌখিক পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেন ১২ মার্চ থেকে।
তা শেষ হয় ৭ জুন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: